নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক তরুণী। রাজধানীর ভাটারা থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এ মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভুক্তভোগী ওই তরুণীর দায়েরকৃত মামলার নম্বর ৪৬। মামলাটি তদন্ত করছেন ভাটারা থানার এসআই রিয়াদ আহমেদ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দেড় মাস ধরে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন গোলাম ফারুক।
জানা গেছে, গোলাম ফারুকের গ্রামের বাড়ি বানারীপাড়ার ডান্ডোয়াটে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার নিজস্ব ফ্ল্যাট রয়েছে। ফারুক মাঝে-মধ্যে বানারীপাড়া থেকে এসে ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন।
পুলিশ জানায়, মেয়েটি রাজধানীর পল্লবীর একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন। বাসাও পল্লবীতেই। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। গত মাসের শুরুতে মেয়েটির মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল আসে। রং নম্বর হওয়ায় মেয়েটি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপরও একই নম্বর থেকে কল করা হতো তাকে। এরপর তাদের মধ্যে শুরু হয় যোগাযোগ, যা পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়।
মামলায় ওই তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভনে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলেন গোলাম ফারুক। সম্প্রতি তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।
এ ব্যাপারে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান জানান, ‘গোলাম ফারুক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তবে ফারুকের বাড়ি বানারীপাড়া কি না বা তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান কি না তা এখনও নিশ্চিত নই। কারণ এ ধরনের তথ্য মামলার কপিতে নেই। আসামির নাম ছাড়া বিস্তারিত পরিচয়ও নেই। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’
ওসি বলেন, ‘মামলার তদন্তের স্বার্থে ভুক্তভোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। আগামীকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমকে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলেও জানান।’